সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে এবার এরাজ্যে আক্রান্ত হতে হলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতা রীতেশ তিওয়ারিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর নির্দেশে দেশজুড়ে সিএএ নিয়ে জনজাগরণ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচিরই অংশ হিসেবে বর্ধমানের লাকুডিতে একটি সভা করতে যান রীতেশ। সেখানেই বিজেপি নেতাকে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। রীতেশ তিওয়ারির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও, তৃণমূলের তরফে সমস্তরকম অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সিএএ নিয়ে বিরোধীদের দেশজুড়ে বিক্ষোভে যাতে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা না যায়, তা নিশ্চিত করতেই দেশজুড়ে এই আইনের পক্ষে প্রচার শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কী এবং কেন এই আইন আনা হয়েছে? সবকিছু বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতাদেরও। রীতেশ তিওয়ারির উপর দায়িত্ব ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের। সেইমতো রবিবার দিনভর পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি পালনও করেন তিনি। দিনের শেষে তিনি গিয়েছিলেন লাকুডিতে। সেখানেই তাঁর উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতার কথায়, তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়েছে। এতে তাঁর গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল প্রামাণিক দাবি করেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। সামনে পুরোভোট তাই ওদের দ্বন্দ্ব বেড়েছে। আবার সিএএ বিজেপির অন্দরেও অনেকে মেনে নিতে পারছে না। তাই দ্বন্দ্ব হচ্ছে ওদের মধ্যে।
সিএএ-র ভাল দিক বোঝাতে গিয়ে বিজেপি নেতার মার খাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে খাস বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে একই ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার মুসলিম অধ্যুষিত লাক্কাদা মহল্লায় CAA’র ভালদিক বোঝাতে গিয়েছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতারা। সেখানেই গেরুয়া শিবিরের নেতার উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেধড়ক মার খান র আমরোহার বিজেপির জেলা সম্পাদক মূর্তাজা আগা কোয়াজমি লাক্কদা। এবার এরাজ্যেও আক্রান্ত হতে হল গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ নেতাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.