সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: “তৃণমূল আর মাওবাদী এক। একদা মাও মদতপুষ্ট জনসাধারনের কমিটির নেতাকে দলে টেনে তা প্রমান করে দিয়েছে তাঁরা”, বুধবার পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল বরাবাজার ও মানবাজার দু’নম্বর ব্লকে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে শাসকদলকে এভাবেই বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (Raju Banerjee)।
বুধবার রঘুনাথপুর থেকে বরাবাজার ব্লকের বানজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলের ২৮ ও সিপিএমের ৮ জন কর্মী প্রায় তিনশো জনকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। ওই অনুষ্ঠান সেরেই মানবাজার দু’নম্বর ব্লকের বোরোর কালীতলা মোড়ে একটি ভবনে বান্দোয়ান বিধানসভাকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে ওই বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূল-মাওবাদী যে এক তা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আগে যিনি মাওবাদী ছিলেন তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। তাই মানুষজন এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। এখন আর জঙ্গলমহলে তৃণমূল নেই।”
তাঁর অভিযোগ, জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। সব তৃণমূলের ‘খাওবাদীরা’ খেয়ে নিচ্ছেন। বিজেপি নেতার কথায়, “এই ‘খাওবাদীদের রাজ্য থেকে তাড়ানো শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এদিন বরাবাজার থেকে মানবাজার দু’নম্বর ব্লক দু’জায়গাতেই বিজেপির কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় ওঠে। নেতা–কর্মীরা দু’জায়গাতেই একেবারে ঠাসাঠাসি হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেনি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রাজু বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানে আবেগেই মানুষজনের ভিড় হয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা সব জায়গাতেই চেষ্টা করছি সামাজিক দূরত্ব মানতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.