সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে শিলিগুড়ির বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরিকে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। দাবি জানালেন সঠিক তদন্তের। সেইসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও।
শুক্রবার কাজ সেরে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন অভিজিৎবাবু। বহরমপুরের ভাকুড়ি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটে দুর্ঘটনা। উলটোদিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাঁর গাড়ির। নজরে পড়তেই স্থানীয়রা অভিজিৎবাবুকে উদ্ধার করেন। বিজেপি সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর শনিবার রাতেই শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায় অভিজিৎবাবুর বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও সাংসদ রাজু বিস্ত। বেশ কিছুক্ষণ মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর মুকুল রায় জানান, অভিজিৎবাবুর স্ত্রী পারমিতা দেবী অভিযোগ করেছেন যে নিছক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি অভিজিতের। একই দাবি করেন মুকুল রায়ও। তাঁর কথায়, অভিজিৎ বাবু একজন দাপুটে নেতা ছিলেন। খুব অল্প সময়ে দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাঁর হাত ধরেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই তৃণমূল ইচ্ছাকৃত খুন করেছেন তাঁকে।
পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মুকুল রায় বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি দুর্ঘটনায় চোখে আঘাত লেগেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার যেভাবে তল্লাসি শুরু করেছিল, তার বিন্দুমাত্রও দেখা গেল না অভিজিৎ রায়চৌধুরীর দুর্ঘটনায়।’ কিন্তু কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইভাবে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সাংসদ রাজু বিস্ত। প্রসঙ্গত, শনিবার মন্ত্রী গৌতম দেবও গিয়েছিলেন অভিজিৎবাবুর বাড়ি। রবিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.