ছবি: প্রতীকী।
সুব্রত যশ, আরামবাগ: স্বাধীনতা দিবসের সকালেই রক্তাক্ত হুগলির খানাকুল। পতাকা উত্তোলন নিয়ে বচসা থেকে সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত গড়াল খুনোখুনিতে। ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হলেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা সুদর্শন প্রামাণিক ওরফে সুদাম। অভিযোগের তিরে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা খানাকুলের নতিপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে রবিবার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। আর সেখান থেকে হত্যাকাণ্ড। স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) সকালে এমনই অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী রইলেন হুগলির খানাকুলের নতিপুরের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, এদিন একই জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করে তৃণমূল, বিজেপি – উভয় রাজনৈতিক শিবির। সেখানে পতাকা উত্তোলনের সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সংঘর্ষ চলাকালীন জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সুদাম প্রামাণিকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকজন। তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুদামকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তৃণমূলই খুন করেছে, এই অভিযোগে সরব হয়ে ওঠে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। নিহত নেতার দেহ সরাতে বাধা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরেও বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন,”আমাদের দলীয় কর্মীরা যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যস্ত, সেই সময় পিছন থেকে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। তাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের কর্মীরা আরামবাগ গড়েরঘাট রাস্তা অবরোধ করে এবং আমরা আগামী রবিবার খানাকুল থানা এলাকা বনধ ডেকেছি। দোকানপাটও বন্ধ থাকবে।” অভিযোগ অস্বীকার করে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংহরায়ের দাবি, এটা বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনওরকম যোগাযোগ নেই। এলাকার পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বেশ উত্তপ্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.