শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আসানসোলের কম্বল কাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। রবিবার তাঁকে বিশেয আদালতে পেশ করে করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিল পুলিশ। পালটা নিজের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন খোজ জিতেন্দ্রই। তাঁর যুক্তি ছিল, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচের শুনানি। ফলে তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হোক। তবে বিচারক বিজেপি নেতার ৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
এদিকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে থানা থেকে বের করার সময় ও আদালত ঢোকানোর সময় তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের গাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। চলে স্লোগানও। তাঁদের প্রশ্ন. অনুব্রত মণ্ডলের জন্য় কালো কাঁচে ঢাকা বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবস্থা হয়ে থাকে, তাহলে জিতেন্দ্রকে পিসিআর ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেন? শেষে কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত,গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বর বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী তথা কাউন্সিলর চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিজনরা। গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতে যান তিওয়ারি দম্পতি। নিম্ন আদালতে রাজ্য়ের যুক্তির কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিওয়ারি দম্পতির আইনজীবী। পালটা হাই কোর্টে যান তাঁরা। রক্ষাকবচ পেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর মাঝে জিতেন্দ্র তিওয়ার বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার জেরা করেছে পুলিশ। নতুন করে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। শোনা যায়, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছেন। এর মাঝেই শনিবার দুপুরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাত দুটোয় আসানসোলে এনে শারীরিক পরীক্ষা করে রবিবার আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে।
পুলিশের তরপে ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। পালটা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন আদালতে দাবি করেন, জামিন চাইছি না কাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তাই আজ তাঁকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। পরে প্রয়োজনে আরও ১২ দিন দেওয়া হবে। তবে তাঁর আরজিতে কর্ণপাত করেনি আদালত। ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.