(বাঁদিকে) জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং (ডানদিকে) কুণাল ঘোষ
শেখর চন্দ্র, আসানসোল: তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ খারিজ করলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শাসক দলের নেতার অভিযোগ সারবত্তাহীন বলেই দাবি তাঁর। আগামী সাতদিনের মধ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে মানহানি মামলার পালটা হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্রর।
পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। এই মামলার তদন্তে শনিবার ওই গ্রামে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বরং স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল তৃণমূল। শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ-র অভিযান ও দুই নেতাকে গ্রেপ্তারিতে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বের পালটা চাপ দিতে শুরু করেন শাসক শিবিরের নেতারা। অভিযোগ, এই ঘটনায় এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে। তা পূর্বপরিকল্পিত।
নথি প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে গিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর তাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মূল ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারই পালটা জবাব দিলেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, “কোন সাদা খাম কাকে দেওয়া হয়েছে প্রমাণ করুন। কাউকে খাম দিলে প্রমাণ করুন। নিয়ে আসুন। সাতদিন সময় দিলাম। প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগ প্রত্যাহার করুন। নইলে মানহানির মামলা করব।” এবার তৃণমূল কী পদক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.