Advertisement
Advertisement
বিজেপি নেতার ভাইপোকে গুলি তৃণমূল

‘দল না ছাড়লে মেরেই ফেলব’, হুমকি দিয়ে বিজেপি নেতার ভাইপোকে গুলি, কাঠগড়ায় তৃণমূল

তৃণমূল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

BJP leader firing TMC worker Noapara North 24 Paragana
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 6, 2020 1:49 pm
  • Updated:September 6, 2020 1:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি করেন এই নাকি তাঁর ‘অপরাধ’। তার জেরে গুলিবিদ্ধ হতে হল তাঁকে। অন্তত পরিবারের দাবি তেমনই। উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের নোয়াপাড়ায় (Noapara) ফের রাতের অন্ধকারে শুটআউটের ঘটনার ধুন্ধুমার। জখম ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

আশুতোষ সিং নোয়াপাড়ার বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতির ভাইপো। কাকার হাত ধরে রাজনীতিতে পা রেখেছেন তিনিও। বর্তমানে আশুতোষ এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবেই পরিচিত। পরিবারের অভিযোগ, গেরুয়া শিবির ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। তবে তাতে খুব একটা আমল দেননি আশুতোষ। পরিবর্তে দল না ছেড়ে দিব্যি গেরুয়া শিবিরের হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরিবারের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। তাই তারা আশুতোষকে খুনের চক্রান্ত করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভাই মনিরুলের নির্দেশেই লাভপুরের ৩ ভাইকে খুন! জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি আনারুলের]

আশুতোষের পরিজনদের দাবি, সেই পরিকল্পনামাফিক নোয়াপাড়া থানার ইছাপুর অরবিন্দ পল্লিতে শনিবার রাতে পাঁচ-ছ’টি বাইকে করে কুড়ি-পঁচিশজন যুবক আসে। আশুতোষকে সেই সময় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকেরা আশুতোষকে ঘিরে ধরে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। লোহার রড, শাবল দিয়েও তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে পেটে লেগে বেরিয়ে যায় গুলি। মাথাও ফেটে যায় তাঁর। এদিকে, গুলির শব্দ এবং চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রাই আশুতোষ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত থাকলেও আশুতোষ বিপন্মুক্ত বলেই দাবি চিকিৎসকদের।

যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। নোয়াপাড়া শহর ২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মজুমদার বলেন, “বিজেপিই দুষ্কৃতীরা মদত দেয়। তারাই চতুর্দিকে এমন নানা কাণ্ড করে চলেছে। আদতে এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।” নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ‘হারানো জমি ফিরে পেতে মাওবাদী-তৃণমূল যোগসাজশ’, জঙ্গলমহল নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement