নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁর অনুগামীরা যেন কার্যত অভিভাবকহীন। ‘ফাঁকা’ বীরভূমে বর্তমানে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চা চক্রের ফাঁকে তাঁর মুখে শোনা গেল অনুব্রতর নাম। অনুব্রত জেলে রয়েছেন বলে তিনি জামবুনির চায়ের দোকানে বসে চা খেতে পারছেন বলেই দাবি বিজেপি নেতার।
বুধবার বীরভূমে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তোলেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের জামবুনিতে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দিলীপের মুখে শোনা গেল অনুব্রতর নাম। চায়ের দোকানের সামনে বসে তিনি বলেন, “অনুব্রত নেই। তাই জামবুনির চা দোকানে বসে চা খেতে পারছি। গত বছর এখানেই চা খেতে আসায় দোকানদার ঝাঁপ ফেলে পালিয়েছিলেন।”
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) জালে অনুব্রত। তবে বারবার তাঁর আইনজীবী এবং তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, অনুব্রত নির্দোষ। তিনি গরু পাচার মামলায় যুক্ত নন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দিলীপ ঘোষের দাবি, শুধু গরুই নয়। কয়লা, পাথর ও বালি পাচারেরও মাস্টারমাইন্ড অনুব্রতই। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানাও করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। দিলীপের দাবি, “কেষ্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর দিদিমণির ঘুম ছুটেছে।” সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে সমর্থন করে দিলীপের দাবি, “বীরভূমে সাময়িক লুট বন্ধ হয়েছে। হাসি ফুটছে সাধারণ মানুষের মুখে।”
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ জটের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টেও (Calcutta High Court)। এই প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁর কটাক্ষ, “রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের মাইনে দিতে পারছে না। কারণ, বীরভূমে সিন্ডিকেট থেকে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লুট করছেন তৃণমূল নেতারা। রাজ্য সরকার মাইনে দিতে পারবে কী করে? বীরভূমের সমস্ত কিছু লুট হয়েছে। এবং তা দিয়ে নিজেদের ভাণ্ডার ভরেছেন তৃণমূল নেতারা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.