পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার নাকাশিপাড়ায় একটি জনসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পাহাড় ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘পুলিশ মার খেয়ে পালাচ্ছে। তখন মিলিটারি নামছে। কালকেও কুড়ি পঁচিশজন পর্যটক একটি মন্দিরে লুকিয়ে ছিলেন। প্যারামিলিটারি ফোর্সের ইস্টার্ন কমান্ডার গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। অথচ এই ইস্টার্ন কমান্ডারকেই দিদি তোলাবাজ বলেছিলেন।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘দিদি বলেছেন পাহাড় হাসছে। এবার গিয়ে দেখে আসুন, পাহাড় কীরকম হাসছে। চারজন মারা গিয়েছেন। আগুন এখনও জ্বলছে।’ এরপরেই মমতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এই পুরো ঘটনার দায় মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি আগুন জ্বালিয়েছেন। মানুষকে উসকানি দিয়েছেন। এখনও পুলিশ পাঠিয়ে মারধর করে এলাকা গরম করে রেখেছেন। এই ধরনের রাজনীতি করে পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ হচ্ছে। দিদি কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নেবেন। মিলিটারি ফোর্স নেবেন। অথচ কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রীর নেদারল্যান্ডস সফরে যাওয়াকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দিদির লোকেরা বা দিদি কেউই যাচ্ছেন না পাহাড়ে। ওঁরা আগুন জ্বালিয়ে নেমে এসেছেন। বলেছিলেন, একজন পর্যটক থাকলেও তিনি ফিরবেন না। কিন্তু সকলকে ঝামেলার মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে এলেন। আজ নেদারল্যান্ডসে বেড়াতে চলে গেলেন। তাঁর এই ফাঁকিবাজির রাজনীতি সকলে বুঝে গিয়েছেন। যত গন্ডগোল বাঁধবে তাতে ওঁর লাভ আছে।’
এদিকে, গোর্খাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি আমরা সমর্থন করি না। তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব রাখতে আন্দোলন করছে। তবে তাঁদের বিকাশের অধিকার রয়েছে সেটা সমর্থন করছি।’ পাহাড়ে সমাধানের পথ বাতলাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গোর্খাদের ইস্যু আলাদা। আমাদের ইস্যু আলাদা। আমরা চাই পাহাড়ে শান্তি আসুক। গোর্খাদের উন্নয়ন হোক ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে। রাজ্য, কেন্দ্র, গোর্খা আলোচনায় বসে কথা বলুক। লাঠি, বন্দুক দিয়ে কিছু হবে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.