সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক পাঁচ বছর আগে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বাংলায় পদ্ম ফুটিয়েছিলেন। সেবার মোট ১৮টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে পালাবদল। সবুজ ঝড়ে ফিকে গেরুয়া। কমল আসন। নিজেকেও রক্ষা করতে পারেননি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে পর্যুদস্ত দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির অতি জনপ্রিয় নেতার হারের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। হারের পর অবশ্য কারণ হিসাবে সরাসরি কিছু না বললেও অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।” বলে রাখা ভালো, ভোট ঘোষণার বহু পরেও বিজেপি প্রার্থী তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত জটিলতা ছিল। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ফের টিকিট পাবেন কিনা, তা নিয়ে নানা জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। শোনা যায়, মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী হিসাবে ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে তা নিয়ে নাকি চূড়ান্ত মতবিরোধ ছিল। বারবার দিল্লির শাহী দরবারে তা নিয়ে নাকি তদ্বিরও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদাররা। যদিও সে গুঞ্জনকে মিথ্যা বলেই দাবি করে গেরুয়া শিবির। এর পর আর মেদিনীপুরে টিকিট পাননি দিলীপ। পরিবর্তে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে।
তবে কি কেন্দ্র বদলই কাল? সে কারণেই পরাজয়? দিলীপ ঘোষ বলেন, “অসম্ভব কিছু না। সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে। আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। ফাঁকি রাখিনি। এবার বর্ধমানে হেরে যাওয়া কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনেছেন একটা জায়গায় অন্তত লড়াই হয়েছে। যাঁরা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।” উল্লেখ্য, চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম। বিজেপি নেতৃত্ব খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণ করে দেখবেন বলেই সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.