রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলা থেকে ৬ জন আল কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা NIA। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের জন্যই বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই অভিযোগের সুর চড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এদিন তিনি বলেন, “পুলিশ জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। অথচ সাধারণ মানুষকে বিজেপি করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গাঁজার কেস দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের গতিবিধি এবং সারা পশ্চিমবাংলায় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের গতিবিধি বাড়িয়ে তুলছে। এই দুই গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে ভোট জেতার চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতাদেরও খুন করানো হচ্ছে। CAA পাশ হওয়ার পর তৃণমূল বিরোধিতা করেছে। ফিরিয়ে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্যই দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়িত্ব সীমান্তে নজর রাখা। ভারত অসুরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। কারণ, বাংলার সরকারই একমাত্র জাতীয় নিরাপত্তার পরিবর্তে রাজনীতিকে গুরুত্ব দেয়।” এর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিজেপি। এবার এনআইএ’র গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সরব গেরুয়া শিবির।
শুধু বিজেপিই নয়। কংগ্রেস NIA’র গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিও (Adhir Ranjan Chowdhury) তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “রাজনীতি করার জন্য বা এর ঘাড়ে ওর ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য এ কথাগুলো বলছি না। বাংলায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা পরিষ্কার। কয়েক বছর আগে খাগড়াগড়ে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হওয়ার পর জানা গিয়েছিল সেখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। বড় রাস্তার ধারে পাকা বাড়িতে তারা ছিল। অথচ পুলিশ জানতেও পারেনি। বিস্ফোরণ না ঘটলে হয়তো জানতে পারতও না। এর আগেও বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনায় মুর্শিদাবাদের নাম উঠে এসেছে। ভারতের অন্যত্র জঙ্গি নাশকতার ঘটনাতেও মুর্শিদাবাদের নাম উঠেছে। যেমন কিছু দিন আগে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের নাম জড়িয়েছিল। তাছাড়া এই জেলা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদের শাখা প্রশাখা এখানে ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ সব কম চিন্তার নয়।” তবে পালটা রাজ্যের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.