Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিলীপ ঘোষ

‘হিন্দু-মুসলমান ভাগ করছি, বেশ করেছি’, ফের বেফাঁস মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

মেরুকরণের রাজনীতির পক্ষে সওয়াল রাজ্য বিজেপির সভাপতির।

BJP leader Dilip Ghosh again rakes up Hindu -Muslim issue
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 10, 2020 9:30 am
  • Updated:January 10, 2020 9:32 am  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুনীপা চক্রবর্তী: বিজেপির বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগের সরাসরি জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “হিন্দু-মুসলমানকে ভাগ করছি। ঠিক করছি। তোর বাপের কী রে? ক্ষমতা থাকলে আটকা। আগে তো ধর্মের ভিত্তিতেই দেশ ভাগ হয়েছে। কোটি কোটি মানুষকে উদ্বাস্তু হতে হয়েছে।” মেরুকরণের রাজনীতির পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি।

CAA’র সমর্থনে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের পাঁচমাথা মোড়ে দলীয় সভায় দিলীপবাবুর দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর অনেকেই (বেআইনি অনুপ্রবেশকারী) এখন সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশে পালাতে চাইছে। ওরা বুঝে গিয়েছে এখানে থাকলে জেলে ঢুকিয়ে দেবে। মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাংকের স্বার্থে তাদের আটকাতে চাইছেন। কোনও বিদেশিকে এদেশে থেকে লুঠ করে খেতে দেব না। আর যাঁরা অত্যাচারিত হয়ে বাধ্য হয়ে এদেশে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেব। মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা বিভাজনের চেষ্টা করবে তাদের হাত কেটে দেব। হিন্দু বাঙালিদের আমরা নাগরিকত্ব দেব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ছিলেন প্রসূতি, থানায় অভিযোগ দায়ের দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে]

এদিন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম সাঁওতালি ভাষায় বক্তব্য রাখেন। এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার, রাজ্য সম্পাদক তুষারকান্তি ঘোষ, অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র, দলের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি সুখময় শতপথি প্রমুখ। CAA’র সমর্থনে একটি মিছিলও হয়। এদিন সকালে খড়গপুরে চা চক্রে মিলিত হয়ে জনসংযোগও সারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিকে, কুমারগঞ্জে ধর্ষণ করে কিশোরীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ নন্দন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। দলের যুব ও মহিলা মোর্চা এই মিছিল করবে। কিন্তু পুলিশ নন্দন থেকে হাজরা রুটে মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। আজ সকালে হাই কোর্টে শুনানি রয়েছে।

রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অন্য রাজ্যে কিছু হলে এখানে বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে নামেন। কিন্তু কুমারগঞ্জের মতো মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় কেউ পথে নামেনি। আমরা রাস্তায় নামব ঠিক করেছিলাম। শান্তিপূর্ণ মিছিল হত। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি আদালত অনুমতি দেবে। আমরা মিছিল করতে পারব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement