নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের কুকথা বীরভূমের বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলের মুখে। এবার নিশানায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘৩৪ বছরের সিপিএমের অত্যাচার, অবিচার, অনাচার থেকে বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচতে দেননি। মুখ্যমন্ত্রী রাক্ষসী। তাই লোকসভা তৃণমূলকে পিছনে লাথি মেরে রাজ্যছাড়া করেছে মানুষ।’ এদিকে কালোসোনাবাবুর এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সাফ কথা, ‘কেউ আইন নিজে হাতে তুলে নিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বীরভূমে দলবদলকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল কাজিয়া তুঙ্গে। মঙ্গলবার দুবরাজপুর ও সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত সিউড়ির দুই ব্লকে প্রায় হাজার খানেক বিরোধী দলের কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। সেই কর্মীরা আদতে সিপিএমের কর্মী সমর্থক বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে দলবদলে বিজেপির তরফে অনান্য নেতারা সংযত বক্তব্য রাখলেও জেলা সভাপতির সামনেই প্রতিদিনই বিতর্কিত মন্তব্য করছেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল। মঙ্গলবার পুরন্দরপুরে তিনি বলেন, “এই এলাকায় জয়রাম দাস ও বিল্লেশ্বর মাহার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সিউড়ি দুই ব্লকে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করব। তাই তৃণমূলের শক্ত গড়ে এদিন শুধু প্রতিষ্ঠা নয়, বেশ কিছু কর্মীকে দলে এনে তাঁরা প্রমাণ করলেন, জেলায় বিজেপির ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে।”
দিন কয়েক আগে স্রেফ দলবদলের কারণে ময়ুরেশ্বরের ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের চারজন সদস্য যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাঁর দাবি, ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ চারজন সদস্য তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। এমনকী, বিজেপির দু’জন সদস্যে দলে আসতে চেয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.