কলহার মুখোপাধ্যায়: বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দমদমের গোরাবাজার এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে ওই কার্যালয়ে। গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায়। ঘটনার নিন্দায় সরব জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে দু’দফা ভোটের শেষেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রমাগত অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রচার করতে গিয়ে কোথাও প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কোথাও আবার আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের কর্মী,সমর্থকরা। ফের একই ঘটনা দমদমে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দমদমের গোরাবাজারে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মী ও বিজেপির জেলা সম্পাদক চণ্ডীচরণ দাস। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই বাইকে করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে ওই কার্যালয়ে ঢোকে। এলোপাথারি ভাঙচুর চালায় তারা। অভিযোগ, এরপর চণ্ডীচরণ রায়ের উপর চলে হামলা৷ বাঁশ দিয়ে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই জেলা সম্পাদক চণ্ডীচরণবাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ঘটনার বিবরণ গিতে গিয়ে পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পরিচয় গোপন রাখতে এভাবে হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধেয় দমদম হনুমান মন্দির থেকে বিজেপির তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। আক্রমণ প্রসঙ্গে দমদম পুরসভার উপ-পুরপ্রধানের মন্তব্য, ‘তৃণমূল আক্রমণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তৃণমূলের কেউ কোনও ভাবেই এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়৷’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দমদমে বিজেপির সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। তাঁরা নিজেদের মধ্যে অশান্তি করেই তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.