নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: ‘গণতন্ত্র’ বাঁচানোর নামে রথযাত্রার প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নয়, খোদ জেলা সভাপতিকে মারধর, পার্টি অফিস ভাঙচুর ও মহিলা নেত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷
জানা গিয়েছে, রথযাত্রার প্রস্তুতি উপলক্ষে তেহট্ট শহরের একটি লজ ভাড়া নিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব৷ অভিযোগ সভা শুরু হতে না হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ দুই মণ্ডল সভাপতির পদ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিচু তলার কর্মী-সমর্থকরা৷ পরে বিজেপির জেলা সভাপতির উপর চড়াও হন তাঁরা৷ নিজের দলের নেতা-কর্মীদের মারে জখম হন জেলা সভাপতি৷ এরপরই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়৷ একে অপরের দিকে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করতে থাকেন৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন৷ শুরু হয় পোশাক ছেঁড়ার পালা৷ একে অপরের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করতে শুরু করেন৷ হাতাহাতির মধ্যেই পড়ে গিয়ে এক বিজেপি নেত্রী মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়৷ পরে, গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷
[প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণ নিয়ে অশান্তি, দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন যুবকের ]
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে৷ আট ও ন’নম্বর মণ্ডল সভাপতি মলয় মণ্ডল ও জয়ন্ত বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন দলের একাংশ৷ এই নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি তা বলেননি বলে অভিযোগ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়ন্ত বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘আমাকে ফোনে জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার জানান, ওই এলাকায় সুজিত পালকে সভাপতি করা হয়েছে। এমনকি আট নম্বরের সভাপতি মলয় মণ্ডলকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। কর্মীরা এ নিয়ে সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু, তিনি কোনও কথাই শোনেননি। আর তার জেরেই কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান৷’’ এদিনের এই অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকজন রথযাত্রা অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে এদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.