নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: ধর্ষণের অভিযোগে অবশেষে পুলিশের জালে বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রাজেন্দ্র সাহা। বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির তারকেশ্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ঘটনার শোরগোল পড়েছে বসিরহাটে।
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সম্পাদকই শুধু নন, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাহা। তিনি যাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ, তিনি হাড়োয়া এলাকার এক বিজেপি কর্মীরই মেয়ে। ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি হাড়োয়ার রাখালপল্লি এলাকায়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন দলের বৈঠকের কথা বলে ওই তরুণীকে বারাসতে যান বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রাজেন্দ্র সাহা। সেখানে একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে মাথায় জোর করে সিঁদুর পরিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান এলাকার বিজেপি নেত্রী বাসন্তী ঘোষ। তাঁকে রাজেন্দ্র সাহা ও তাঁর অনুগামীরা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ৬ জুলাই হাড়োয়া থানায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন নির্যাতিতার পরিবার। নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেত্রী বাসন্তী ঘোষও। এদিকে এই ঘটনার পরই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রাজেন্দ্র সাহা। শেষপর্যন্ত হুগলির তারকেশ্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
তখন লোকসভা ভোট চলছে। রানাঘাটে জেলা পার্টি অফিসেই এক বিজেপি নেত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল দলীয় নেতার বিরুদ্ধে। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। রানাঘাট মহিলা থানায় দলেরই প্রবীণ নেতা রাখালরঞ্জন সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই বিজেপি নেত্রী। গেরুয়া শিবিরের অভিযুক্ত নেতা নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। যদিও দলের মহিলা নেত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বিজেপি নেতা রাখালরঞ্জন সাহা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.