টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে গুলি চলেছে। গুলিবিদ্ধ অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র-সহ তিনজন। রবিবার সকালেও থমথমে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। এলাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পর শনিবার রাতেই এলাকায় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেলে। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে কাঁকরডাঙা এলাকায় জনসংযোগ যাত্রায় পা মেলান শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, তৃণমূলের মিছিল লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় বোমাবাজিও। এমনকী, সংঘর্ষ চলতে থাকে পুলিশের সামনেও। বিজেপির দাবি, পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে শেষপর্যন্ত গুলি চালায় পুলিশ। জখম হন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র-সহ তিনজন। সকলেরই ভরতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
শনিবার সকালেও যথেষ্ট থমথমে পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙা গ্রাম। রাস্তাঘাট শুনশান, বন্ধ দোকানপাটও। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। ঘটবার পর শনিবার রাতে বিজেপির অঞ্চল সভাপতি তমাল গুঁইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবাদে রবিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের স্টেশন মোড়, ভৈরব স্থান-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ হয়। জেলার বেশ কয়েকটি জায়গা বিক্ষোভ হয় সমাবেশও হয়। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বহিরাগতদের এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। তবে যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসকদলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। এদিকে রবিবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান সিপিএমের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.