দেব গোস্বামী, বোলপুর: কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার সঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সংঘাত তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কড়া আক্রমণ অনুপম হাজরার (Anupam Hazra)। তাঁর দাবি, পুলিশের উচিত সঠিক তদন্ত করা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জেলবন্দি করা উচিত বলেও মত তাঁর।
ঠিক কী ঘটেছে? চলতি বছরের ৫ জুলাই, শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তফসিলি জাতিভুক্ত বিশ্বভারতীর ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রশান্ত মেষরাম। মহারাষ্ট্র থেকে শান্তিনিকেতনে কর্মসূত্রে আসেন তফসিলি জাতিভুক্ত বিশ্বভারতীর এই আধিকারিক। শুধুমাত্র তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার জন্যই হেনস্তা এবং কর্মজীবনে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি কয়েকমাস আগেই কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ওড়িশায় কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন মনোনীত হন প্রশান্ত। কিন্তু তাঁর যাতে সার্ভিস ব্রেক হয়, তার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অব্যাহতি দিতে চায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বাধ্য হয়েই প্রশান্ত মেষরাম প্রথমে কেন্দ্রীয় তফসিলি জাতি কমিশনের দ্বারস্থ হন। পরে আদালতের দারস্থ হন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার উপাচার্যকে দিল্লিতে ডেকে হুঁশিয়ারিও দেন। শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের করা মামলায় শুক্রবার সিউড়ি জেলা আদালত নির্দেশ দেয় ১৮ আগস্ট উপাচার্য-সহ তিন আধিকারিকদের আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
এই ঘটনায় ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আর সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে তাঁকে জোরাল কটাক্ষ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরার। উপাচার্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও বারবার অযথা সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বলেই মত তাঁর। দোষী প্রমাণ হলে তাঁকে জেলবন্দি করা প্রয়োজন বলেই মত বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.