ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে গিয়ে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, এমনকী, বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তখন নবাগতদের নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরে। লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে দলের নেওয়ার প্রতিবাদে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল। দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
জেলার দুটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, খোদ অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে রাজ্যের শাসকদলে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। বুধবার দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি ও প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা, সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আসিফ ইকবাল ও দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা নিমাই দাস। কিন্তু তাতে বীরভূমে বিজেপি সংগঠন মজবুত হবে তো? কারণ মনিরুল ইসলামকে মানতে রাজি নন খোদ জেলার সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল-সহ বীরভূমের বিজেপি নেতানেত্রীর একাংশ। কালোসোনা মণ্ডলের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক থাকাকালীন বোলপুর-লাভপুর চত্বরে রীতিমতো সন্ত্রাস চালিয়েছেন মনিরুল। তাঁর অনুগামীদের হাতে খুন হয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী। ভোটের পর এখন ভোল পালটে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন লাভপুরের বিধায়ক। বিজেপি বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদকের সাফ কথা, শুধু মনিরুল ইসলাম তো ননই, জেলার কোনও তৃণমূল নেতাকেই দলে নেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে তিনি দলত্যাগ করবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, কালোসোনা যদি সত্যি দল ছাড়েন, তাহলে জেলায় অনেক নেতা-কর্মীই আর বিজেপির সঙ্গে থাকবেন না, গণইস্তফা দেবেন।
লোকসভা ভোটে আগে দলবদলে বিজেপিতে যোগ দেন বিষ্ণপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবার ফের বিষ্ণুপুর থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন তিনি। ভোটের পর তৃণমূল নেতাদের দলবদল নিয়ে ফেসবুকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বিজেপি সাংসদের স্ত্রী সুজাতা। মনিরুল ইসলামের মতো নেতাদের দলে নেওয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্তও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.