ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধরের ফলে তাঁর হাত, পা ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই বিজেপি কর্মী ভরতি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ভেড়িলি এলাকার ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? বিজেপি শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ দেবব্রত শেঠ। তিনি ভেড়িলি গ্রামেরই বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে ভেড়িলি বাজারে সবজি কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী তাঁর উপর চড়াও হয়। রড, লাঠি, বাঁশ হাতে ছিল তাদের। ওই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। নির্মমভাবে মারধরের ফলে তাঁর ডান পা ও বাম হাত ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও গোটা শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে তাঁর। মারধরের খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে আক্রমণকারীরা ঘটনাস্থলে বিজেপি নেতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। দেবব্রত শেঠকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর ব্লক স্বস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর।
জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দীর দাবি, “বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানোর জন্য রবিবার ভেড়িলি এলাকার আমাদেরই এক নেতাকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেছিল। তারপর মঙ্গলবার রাতে একই এলাকার বিজেপি কার্যকর্তা দেবব্রত শেঠের উপর হামলা চালানো হয়। দিন দিন এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাস এই এলাকায় বাড়ছে।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে পালটা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.