সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলেরই এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাসের বিরুদ্ধে। পানীয় খাইয়ে নেশাতুর অবস্থায় জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব মোর্চার সভানেত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
জলপাইগুড়ি যুব মোর্চার নিগৃহীতা সভানেত্রীর অভিযোগ, পানীয়ের সঙ্গে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস। এভাবে ওই বিজেপি নেতা বহু মহিলাকেই ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, বারবার দলীয় নেতৃত্বকে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে কোনও লাভ হয়নি। কেউই তাঁকে আমল দেননি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নেত্রী। বিজেপি নেতার ‘ঘৃণ্য’ চরিত্রের কথা সকলের জানা প্রয়োজন বলেই মনে করেন নিগৃহীতা। তবে তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। আমার অভিযোগের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হোক সেটা চাই না।”
যুব মোর্চার উত্তরবঙ্গে অতি পরিচিত মুখ মিঠু দাস। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় তাকে। গত কয়েকদিন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শুক্রবার শামুকতলা থানার ভাটিবাড়িতে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে মিঠুকে পাওয়া যায়নি। পরিবর্তে তার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে তারপর বলব।” অভিযুক্ত মিঠু দাসের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.