নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: হাই কোর্টে মুখ পুড়েছে প্রশাসনের। বুধবার পুরসভায় আস্থা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে বনগাঁয় প্রতিবাদ মিছিল করল বিজেপি। এদিকে এদিন দলের ৯ জন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভায় যান চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বনগাঁ পুরসভায় অচলাবস্থা কাটাতে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ শহর। দফায় দফায় চলে অশান্তি। বিজেপির অভিযোগ, গ্রেপ্তারিতে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও, অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত দলের দুই কাউন্সিলরকে পুরসভায় ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় পুরসভা চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ, তখন পুরসভায় ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলররা আস্থাভোট করিয়ে নেন বলে অভিযোগ। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ে পুরসভায় হাজির হতে পারেননি বিজেপির কাউন্সিলররা। আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। যদিও শাসকদলের দাবি খারিজ করে দেয় বিজেপি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলররা বেরিয়ে যাওয়ার পর পুরসভায় ঢোকেন বিজেপি কাউন্সিলররা। দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানান, বনগাঁ পুরসভা এক্সজিকিউটিভি অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছেন বিজেপির ১১ জন কাউন্সিলর।
বুধবার বনগাঁ পুরসভায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে রীতিমতো খবরের কাগজের কাটিং দেখিয়ে দলের আইনজীবী দাবি করেন, আদালতে পূর্ববর্তী নির্দেশ মেনে আস্থা ভোট হয়েছে বনগাঁ পুরসভায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ ও শাসকদল একসঙ্গে কাজ করেছে৷ নিময়মাফিক কাজের নির্দেশ দিয়েছিলাম৷ চেয়ারম্যান অনাস্থা আনতেই দেননি৷’’ বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে বিজেপিকে পিটিশন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.