Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত BJP, জেলার নেতাদের জন্য গাইডলাইন দিল দিল্লি

কী রয়েছে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত নির্দেশিকায়?

BJP High command issue guidelines for leaders of West Bengal ahead of Panchayat Election | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 24, 2023 2:55 pm
  • Updated:October 17, 2023 8:29 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এমনিতেই জেলায় জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত দল। সামনেই আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা পদ্ম শিবিরের অন্দরে। আগাম সতর্ক হয়েই পঞ্চায়েতে জেলার নেতাদের জন‌্য একগুচ্ছ গাইডলাইন বেঁধে দিল দিল্লি।

পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই এলাকার আমজনতার মতামত নিতে হবে। পাশাপাশি উপর থেকে জেলা বা রাজ‌্যনেতারা কাউকে প্রার্থী হিসাবে নিচুতলায় চাপিয়ে দিতে পারবে না। একইসঙ্গে গাইড লাইন বা নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, অন‌্য দল থেকে কেউ এলেই তাকে প্রার্থী করে দেওয়া যাবে না। সে জেলা পরিষদ হোক, পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েত হোক। দলে নতুন আসাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিতে স্থানীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের মধ্যে থাকা ক্ষোভ-বিক্ষোভ যাতে বিড়ম্বনায় না ফেলে তাই এমনই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। আর পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এই নির্দেশিকার বিষয়টি নরেন্দ্র মোদির দুই সেনাপতি অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডাকেও ছুঁয়ে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টিভি সাক্ষাৎকার দিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট]

দলের অন্দরে অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুনীল বনশল এবং মঙ্গল পাণ্ডে। এই দু’জনকেই বাংলার পর্যবেক্ষক করেছেন শাহ। জেলায় জেলায় ঘুরে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্টও গত কয়েকমাসে সংগ্রহ করেছেন সুনীল ও মঙ্গল। বঙ্গ বিজেপির সংগঠনে কোথায় গলদ রয়েছে, বুথের দুর্বল অবস্থা, নিচুতলায় কর্মীর অভাব, ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে পুরনোদের মধ্যে। এসব কিছুই রিপোর্টে উল্লেখ করে অমিত শাহ ও নাড্ডার কাছে জমা দিয়েছেন তাঁরা। একুশের ভোটের পর থেকেই বিজেপির গ্রাফ নিম্নমুখী। দলের মধ্যে আদি-নব‌্য দ্বন্দ্ব চলছেই। এসব কারণ, পাশাপাশি দলীয় রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একগুচ্ছ গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বুথ ও মণ্ডল কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বিষয়টি দেখবে জেলা কমিটি। এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে রাজ‌্য কমিটি। এক্ষেত্রে জেলা কমিটির সুপারিশ থাকতে পারে। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত নির্দেশিকায় রয়েছে-
১) উপর থেকে প্রার্থী চাপানো যাবে না। নিচুতলার মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ, একুশের ভুল করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।
২) প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আমজনতার মতামতকেও গুরুত্ব।
৩) নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা পুরনো ও পরিচিতদের সক্রিয় করা দলের কাজে। প্রয়োজনে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখদেরও প্রার্থী করা যেতে পারে।
৪) আর ভোট বাড়াতে নিচুতলার দরজাও সতর্কভাবে খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিউড়িতে এসে দলীয় বৈঠকে অমিত শাহও বলে গিয়েছেন, অন‌্য দলের থেকে কেউ আসতে চাইলে তাদের নিতে হবে।
৫) গতবার যেসব প্রার্থী পদ্মচিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন, সক্রিয় থাকলে বা যোগাযোগ করা গেলে তাঁদের প্রার্থী করতে হবে।

[আরও পড়ুন: মহিলার সঙ্গে ‘অশ্লীল’ ভিডিও চ্যাট! অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ইস্তফার দাবি বিজেপির]

দলের তরফে এই গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হলেও প্রশ্ন বুথ কমিটি নিয়ে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুথে কমিটি হয়েছে। তা হলে সিংহভাগ বুথে যেখানে কমিটি নেই সেখানে এইসব গাইড লাইন পালিত হবে কী করে? পর্যাপ্ত কর্মী বা দলের প্রার্থী কি সেখানে আদৌ পাওয়া যাবে, প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement