চঞ্চল রায়, হলদিয়া: তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন নন্দীগ্রামের দুই মহিলা! এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। রবিবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রামচকের ঘটনা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বিশ্বজিৎ পাত্র বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সুযোগে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর করে। প্রতিবাদ করতে গেলে পরিবারের দুই মহিলা অলকা পাত্র এবং সুষমা পাত্রকেও মারধর করা হয় বলে দাবি। সুষমাদেবী সন্তানসম্ভবা। দুষ্কৃতীদের মারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুষমাদেবীর শাশুড়ি অলকাদেবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নন্দীগ্রাম দু নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুনীল বরণ জানা বলেন,”তৃণমূল করে বলে আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপি নেতাকর্মীরা হুমকি দিয়েছে বার বার। ওঁরা আমাদের কর্মীদের জরিমানা করেছিল ৬০-৮০ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁরা কেউ জরিমানার টাকা দিতে চাননি। সেজন্য তাই ছটি পরিবারকে ওরা বয়কট করেছে। আর রবিবার বাড়ির মহিলাদের মারধর করেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” যদিও এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানোর দাবি করেছে বিজেপি শিবির। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল জানিয়েছেন,”রামচকে পারিবারিক বিবাদ ছিল দুটি পরিবারের মধ্যে। তার থেকেই সংঘর্ষ বাঁধে। তৃণমূল সেখানে রাজনৈতিক রঙ চড়িয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।”
ঘটনার খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। সোমবার পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডল জানিয়েছেন,”আমরা রামচকের ঘটনায় স্বতঃ প্রণোদিত মামলা রুজু করেছি গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে বাকিদের খোঁজ চলছে।” এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের কড়া টহলদারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.