ছবি: প্রতীকী
রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। দলের যুব সংগঠন যুব মোর্চার জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও ফের তা প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, জেলার যুব সভাপতিদের নাম নিয়ে দলের মধ্যেই মতানৈক্য রয়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল শীর্ষ নেতৃত্বের।
শুক্রবার রাজ্য বিজেপির তরফে ২৯টি জেলার যুব মোর্চার জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার সেই তালিকা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, তারপরই বিভিন্ন জায়গা থেকে দলীয় কর্মীদের অসন্তোষের খবর সামনে আসতে থাকে। একই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও। দলের কোন্দল যাতে বাইরে না আসে সেজন্যই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল। এমনটাই মনে করছেন তাঁরাও। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, এটা অফিশিয়াল তালিকা ছিল না। আগে যুব’র রাজ্য কমিটি ঘোষণা হবে। তারপর জেলা থেকে বিজেপির সভাপতিরা যুব সভাপতিদের নাম প্রস্তাব করে পাঠাবেন। এটাই নিয়ম। এদিকে, যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি এখনও ঘোষণা হয়নি। সেখানেও কয়েকটি নাম নিয়ে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
এদিকে, শনিবার বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে জেলা সভাপতি আঁতাঁত করে চলছেন। এদিন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় ক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অপসারণের দাবি তোলা দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ শোনেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, ”বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক কাজে কিছুটা অশান্তি আছে। কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা আমার কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.