ফাইল ছবি
নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: রাজনৈতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার বসিরহাটে যান বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু, অর্জুন সিং-সহ অন্যান্যরা। শনিবারের ঘটনার জেরে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বসিরহাটে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। এদিন বিকেলে সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার হাটগাজি এলাকায় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১ তৃণমূল কর্মী ও দুই বিজেপি কর্মীর। রাতেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিজেপির দাবি, নিখোঁজ আরও এক কর্মী। পাশপাশি তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, তাঁদেরও বেশ কয়েকজন কর্মী নিখোঁজ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ন্যাজাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
রবিবার দুপুরে বসিরহাট হাসপাতালে পৌঁছান বিজেপি প্রতিনিধিদল৷ দলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ন্যাজাটের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন মুকুল রায়। তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন বাংলায় গন্ডগোল করার জন্য। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে আমাদের কর্মীরা। আরও অনেক কর্মী গ্রামছাড়া হয়ে গিয়েছে।” পাশপাশি তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ শাহাজাহানের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। পুরো ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।” বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল-বিজেপি জানি না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা এই হত্যার প্রতিবাদ করছি।” নিহত তৃণমূল কর্মী ওই এলাকায় কী করছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরেক সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের আরেক নেতা রাহুল সিনহার কথায়,”মুখ্যমন্ত্রীর দলের সদস্যরা চোর, গুণ্ডা। ওঁরা শহিদের মর্যাদা পেতে পারে না। আসল শহিদ নিহত বিজেপি কর্মীরা।” তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিহত বিজেপি কর্মীদের দেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.