নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bagtui) উপপ্রধান খুন এবং দশটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৮ জনের প্রাণহানির ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। থমথমে গ্রামে রাজনীতিকদের ভিড়। বাধা পেরিয়ে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় গ্রামে পৌঁছন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। পথে বসে প্রতিবাদের পর ওই গ্রামে যান অধীর চৌধুরীও। পুলিশি বাধার কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ভারতী ঘোষ-সহ মোট পাঁচজন ওই গ্রামে যান। তবে গ্রামে যাওয়ার পথে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সাঁইথিয়ার রাস্তায় লরি খারাপ হয়ে যায়। তার ফলে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যদিও বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের দাবি, লরির যান্ত্রিক গোলযোগ নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাঁদের বগটুই যেতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও বাধা পেরিয়ে নির্ধারিত সময়ের বহুক্ষণ পর সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ-সহ বিজেপি প্রতিনিধিরা ওই গ্রামে যান। স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
এদিন বগটুইয়ে যান অধীর চৌধুরী। তবে ওই গ্রামে যাওয়ার আগে শ্রীনিকেতনে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস সাংসদ। বগটুই গ্রাম প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস নেতাদের। তিনি বলেন, “যত রাতই হোক বগটুই যাব।”
গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপন করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ।
Our LoP Adhir Ranjan Chowdhury wanted to meet the victims of Rampurhat violence, Birbhum but state police have confined him 90 km away in Bolpur: Congress MP Gaurav Gogoi in Lok Sabha pic.twitter.com/K9oQagqII2
— ANI (@ANI) March 24, 2022
মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম থেকে ফেরার পর শেষমেশ বগটুইতে যান অধীর চৌধুরী। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবিও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.