সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারের পর শনিবারও থমথমে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া চত্বর। কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে ওই এলাকা৷ বন্ধ সমস্ত দোকানপাট। রাস্তাঘাট শুনশান। অশান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভাটপাড়া যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা। কাঁকিনাড়া বাজার এলাকায় ক্ষোভের মুখে সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান, তড়িৎ তোপদার-সহ বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, ভাটপাড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে শহরে পৌঁছেছেন বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। ওইদিন ভাটপাড়া থানা উদ্বোধনের আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সকাল থেকেই কার্যত মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয় ভাটপাড়ায়। সঙ্গে চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই বিজেপি কর্মীর। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া এলাকা। ভাটপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এরপর শুক্রবার মৃত দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত মিছিলকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া৷ পুলিশের সঙ্গে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা৷
অভিযোগ, মিছিল শুরুতেই পুলিশ অর্জুন সিং ও পবন সিংকে মিছিলে হাঁটতে বাধা দেয়৷ আধিকারিকরা জানান, মিছিলে এই দুই নেতা হাঁটলে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে৷ সূত্রের খবর, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি৷ পুলিশ ও ব়্যাফকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা৷ কার্যত দিশেহারা হয়ে পালাতে দেখা যায় তাঁদের৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ৷ এসবের মধ্যেই রামবাবু ও ধরমবীরের মৃতদেহ নিয়ে শ্মশান পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি৷
শনিবার সকালেও থমথমে গোটা এলাকা। রাস্তাঘাট কার্যত জনমানবহীন। সূত্রের খবর, শনিবারই সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে ভাটপাড়া যাচ্ছেন বিজেপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। থাকবেন সাংসদ সত্যপাল সিং ও বিডি রাম। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাঁকিনাড়া বাজার এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.