Advertisement
Advertisement
বিজেপি

শেষ মূহূর্তে বাতিল অমিত শাহের সভা, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বারুইপুর

অটো ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷

BJP chief Amit Shah's Baruipur rally cancelled amidst row
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 13, 2019 2:16 pm
  • Updated:May 17, 2019 1:28 pm

নন্দিতা রায়: রবিবার রাত থেকেই বারুইপুরের অমিত শাহের জনসভার অনুমতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।  অবশেষে সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার দলের তরফে টুইট করে এই সভা বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। এরপরেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভাঙচুর করা হয় একাধিক অটো। প্রসঙ্গত, সভা বাতিলের ঘটনায় এদিন ক্যানিংয়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন অমিত শাহ। 

            [আরও পড়ুন: বারুইপুরে অমিতের সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা, অনুমতি প্রত্যাহার জমির মালিকের]

মূলত জমি সমস্যার কারণে বারুইপুরের মদারহাটের সভা বাতিল হয়ে গিয়েছে৷ তবে তার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় সভা করার কথা ছিল, সেই জমির মালিক তৃণমূল কর্মী। সেই কারণেই শাসকদলের যোগসাজশেই তিনি জমি দিতে রাজি হননি বলে অভিযোগ বিজেপির। প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সভা বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন,” আমরা বেশ কয়েকদিন আগে সভার অনুমতি চেয়ে আরজি করেছিলাম। এতদিন বলা হয়েছে, অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ বাতিল করে দেওয়া হল। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এভাবে নির্বাচনী অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। তিনি বুঝে গিয়েছেন, তাঁর যাওয়ার সময় এসেছে। সেই জন্যই বিজেপির সব কাজে বাধা দিচ্ছেন তিনি।” 

Advertisement

এ প্রসঙ্গে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন এ রাজ্যের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “প্রথমে হেলিকপ্টার নামানোর অনুমতি দেওয়া হল। বলা হয় সভার অনুমতিও দেওয়া হবে। এরপর হঠাৎই সভার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হল৷ সেই সঙ্গে কপ্টার নামানোর অনুমতিও বাতিল করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বলা হয়েছে, পুনরায় আবেদন করলে অনুমতি মিলবে। এগুলি কী হচ্ছে?” তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে হেনস্তা করার জন্য এসব করছে শাসকদল। তবে এভাবে বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয় বলেও হুঁশিয়ারি কৈলাস বিজয়বর্গীর।

[আরও পড়ুনভোটের মাঝে কোটি টাকা-সহ আসানসোলে গ্রেপ্তার ২, দানা বাঁধছে রহস্য]

সভা বাতিল হওয়ার আগেই বিজেপি কর্মীরা ভিড় জমিয়েছিলেন বারুইপুরের মদারহাটে। সভাস্থলের সামনের রাস্তা দিয়ে অটোয় প্রচার করছিলেন তৃণমূল সমর্থকরা। সেই সময় দু’পক্ষই একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। এরপরই হাতহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষই৷ ভাঙচুর করা হয় একাধিক অটোতে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা। 

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement