সৈকত মাইতি, তমলুক: তৃণমূল কর্মীদের গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর৷ তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সংগ্রহ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক৷ স্বতঃপ্রণদিত তদন্তও শুরু করেছে প্রশাসন৷ সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে শাসকদল৷
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগের দিনই রানাঘাটে আত্মহত্যার চেষ্টা ভোটকর্মীর ]
তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে দলীয় নেতাদের উপর শাসকদলের সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদ করেন সিদ্ধার্থ নস্কর৷ মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেওয়াল লিখনে কালি দেওয়া হচ্ছে৷ পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করার, পাশাপাশি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে অধিকারী পরিবারের গুণ্ডারা। যাঁরা পেট ভরে টাকা খেয়ে বসে আছে। আমি তাঁদের বলছি, ওদের গুন্ডাগিরি ছাড়িয়ে দেব। দিন কিন্তু আমাদের এসেছে। সেদিন গাছের গায়ে বেঁধে এমন মার মারব বুঝতে পারবেন। বাপের জন্মে এমন মার কেউ মারেনি। আমাদের তোমরা অনেক মেরেছ। পুলিশের কাছে ডেট করে এসো, ভারতীয় জনতা পার্টির যুবকরা কিন্তু তৈরি আছে।’’ বিজেপি প্রার্থীর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তুঙ্গে জেলার রাজনৈতিক মহলে৷ তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তৃণমূল৷ তবে তার আগেই ঘটনার স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন৷
[ আরও পড়ুন: বিজেপির প্রচারে ‘মার্কিন নাগরিক’ খালি, কমিশনে নালিশ তৃণমূলের ]
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন বিজেপির তমলুকের প্রার্থী৷ বলেন, ‘‘তোমার মুখ্যমন্ত্রীকে বলে দিও, এখানে এমন ভোট হতে চলেছে, যা ওনার বাপের চোদ্দ পুরুষে দেখেনি। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে থাকবেন। এই গুন্ডাদের নাম লিখে রাখবেন। যারাই হুমকি দেবে, এসে বাড়ি ভাঙবে, তাদের ছবি তুলে রাখবেন।’’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের সরকারে মা ধর্ষিত, মাটি মানুষের রক্তে ভেজা এবং সাধারণ মানুষ আজ হাহাকার করছে। সিপিএমকে ভোট দিলে তা হারিয়ে যাবে, কংগ্রেসকে দিলে তা জলে পড়বে, তৃণমূলকে ভোট দিলে বড় ভুল করবেন। তাই আপনারা নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়ে দেশ গড়ার কাজে অংশ নিন। আমি শপথ করে বলছি, পার্লামেন্টে গিয়ে নন্দীগ্রামে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপ্রকল্প চালু করতে না পারলে, আমি আপনাদের এখানে আসব না।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.