নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বনগাঁ কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে অনেকে নামই শোনা যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। বুধবার সকাল থেকে প্রচার নেমে পড়লেন বড়মার নাতি। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতারণা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তাই এবার আর মতুয়াদের ভোট পাবেন না তিনি। বনগাঁ থে্কে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া বিষয়ে আশাবাদী শান্তনু।
[ আরও পড়ুন: অন্তর্দ্বন্দ্ব ঘুচিয়ে দলের প্রার্থীর পাশে জলুবাবু, কৃষ্ণনগরে পঞ্চমুখী কঠিন লড়াইয়ে কল্যাণ চৌবে]
গাইঘাটার ঠাকুবাড়ির সঙ্গে রাজনীতির যোগ নতুন নয়। খোদ বড়মা বীণাপাণিদেবীর স্নেহধন্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিল বড়মার বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। কপিলকৃষ্ণের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে জেতেন তাঁর স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। এবারেও লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদকেই প্রার্থী করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাবালার বিরুদ্ধে বিজেপির বাজি শান্তনু ঠাকুর।
মতুয়া মহাসংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ও বড়মা বীণাপাণিদেবীর ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণের কনিষ্ঠপুত্র শান্তনু। কয়েক মাস আগে তাঁরই উদ্যোগে গাইঘাটায় মতুয়া মহাসংঘের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বড়মার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বনগাঁয় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শান্তনু ঠাকুরের নাম ঘোষণা হতেই গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে ভিড় করেন মতুয়া ভক্তরা। শান্তনুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান তাঁরা। বুধবার ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দির প্রণাম সেরে প্রচার শুরু করলেন বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। প্রথম দিন গাইগাটা ঠাকুরবাড়ি লাগোয়া এলাকায় মিছিল করে প্রচার সারলেন শান্তনু। প্রচার মিছিলে হাঁটলেন প্রায় শ’খানেক বিজেপি সমর্থক। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ির বধূ মমতাবালা ঠাকুরকে সাংসদ হিসেবে দেখেছেন তাঁরা। এবার জেঠিমার বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে নেমেছে ঠাকুরবাড়ির ছেলে শান্তনু। লোকসভা ভোট নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে মতুয়া ভক্তদের। অনেকেই বলছেন, ‘বউমাকে তো দেখলাম, এবার ছেলে যদি জেতে, তাহলে দেখি আমাদের জন্য কী করে?’
[আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পুলিশের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.