ধীমান রায়, কাটোয়া: যখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে দল, তখন দিল্লি ছিলেন খোদ প্রার্থী। নাম ঘোষণার পরেই শনিবার বাড়ি ফিরেছেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। রবিবার থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচারে। তবে পদ্ধতিটা ভিন্ন।
অন্যদল রাজনৈতিকগুলোর তুলনায় বেশ কিছুটা দেরিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিভিন্ন এলাকার কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের ছবি ধরা পড়েছে। তবে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্র এলাকার ছবিটা কিছুটা আলাদা। নাম ঘোষণার পরেই প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন দলের কর্মীরা। আর রবিবার থেকে প্রচার শুরু করলেন প্রার্থী পরেশচন্দ্র পাল। এদিন প্রথমে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন তিনি। এরপরই এলাকায় বের হন তিনি। তবে তাঁর প্রচারের পদ্ধতি ছিল ভিন্ন। কারণ, ভোটপ্রচারে বেড়িয়ে পুজো সেরে প্রথমেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে সাফাই অভিযানে হাত লাগান তিনি। এদিন কাটোয়ার বিকিহাটের বিশ্বসুখ একটি মঠের বাইরে সাফাই অভিযানে শামিল হন তিনি।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার আগে বিশ্বসুখ মঠের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত এক সাধু। প্রথম থেকেই এই মঠের দোল উৎসব এক ঐতিহ্য। প্রতিবছর দোল উৎসবে দুই বাংলার মিলে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই মঠে। কয়েকদিন ধরে চলে মহোৎসব। স্বভাবতই প্রচুর মানুষের সমাগমের পর পরিছ্ন্ন হয় এলাকা। সেকারণেই রবিবার মঠে গিয়ে প্রণাম সেরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই মঠ চত্বরের আবর্জনা সাফাইয়ে হাত লাগান বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে ঘিরে দলের কর্মীদের মধ্যেও উদ্দীপনা ছিল প্রবল।
পরেশচন্দ্র দাস বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের উচিৎ নিজের এলাকা পরিছন্ন রাখা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতা অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্বসুখ মঠ সর্বধর্ম ও বর্ণের মানুষের এক মিলনক্ষেত্র। তাই এই মন্দিরে এসে আর্শীবাদ নিয়ে এলাকায় ভোটপ্রচার শুরু করেছি।” নির্বাচনে জয়ের প্রসঙ্গে পরেশচন্দ্র দাস বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি দেখেই মানুষ আমাকে কাজ করার সুযোগ দেবেন।” সাফাই অভিযানের পর দাঁইহাট শহরের আখড়া গ্রামে যান তিনি। এরপর জগদানন্দপুর-সহ একাধিক গ্রামে প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। যদিও কতটা কার্যকর হবে তাঁর এই অভিনব প্রচার তা বোঝা যাবে ফলপ্রকাশের পরেই।
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.