পলাশ পাত্র, তেহট্ট: কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন৷ মধ্যগগনে ভোটযুদ্ধের আবহ৷ তার আগে একটুও সময় নষ্ট করতে রাজি নন প্রার্থীরা৷ সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই ব্যস্ত রয়েছেন মিটিং-মিছিল, প্রচারে৷ পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরও৷ রবিবাসরীয় সকালে ভোটের প্রচারে নামলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে৷
রবিবার সকালে কৃষ্ণনগরে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী৷ প্রথমে রাজবাড়িতে যান তিনি৷ বেশ খানিকটা রাস্তা হেঁটেই প্রচার করেন কল্যাণ চৌবে৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সকলের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি৷ এরপরই সোজা চলে যান কয়েকশো বছরের পুরনো আনন্দময়ীর মন্দিরে৷ ১৮০২ সালে মহারাজা ধীরাজ শ্রী গিরিশচন্দ্র রায় এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ ওই মন্দিরে পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নেন গেরুয়া শিবিরের সৈনিক৷
রবিবাসরীয় ব্যস্ত শিডিউলে কৃষ্ণনগরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর৷ এছাড়াও ঘূর্ণিতেও মহিলা মোর্চার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল বহুদিন আগে৷ দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের পর প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বিজেপি৷ তাই প্রচার শুরু করতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ যেখানে প্রচারের দৌড়ে বেশ কয়েকগুণ এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র৷ যদিও সে বিষয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী৷ জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘‘আমাদের দল প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে পরে৷ দলের কাজ ৩৬৫ দিন হয়৷ মোদি সারা দিনরাত কাজ করেন৷ আমাদের সংগঠন সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য কাজ করে৷ সাংবিধানিক নিয়মে প্রার্থীরা সমস্যার কথা সংসদে জানান৷ অভাব পূরণের জন্য সকলের দরজায় দরজায় যাব৷ সকলের সমস্যা দিল্লিতে পৌঁছে দেব৷’’
দেখুন ভিডিও:
একসময় ফুটবলের ময়দানে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন কল্যাণ চৌবে৷ রাজনীতির ময়দানে তিনি শুরু করেছেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস৷ ফুটবল নাকি রাজনীতি – কোন লড়াই বেশি শক্ত, সে বিষয়েও বেশ কৌশলী উত্তর দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে৷ তিনি বলেন, ‘‘সাঁতার কাটতে নেমে, জলে না ওঠা পর্যন্ত লড়াই চলবে৷ নিঃশ্বাস যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ লড়াই চলবে৷’’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.