নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে প্রচারে এলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই সভাতে দেখা মিলল না প্রার্থীরই। আর তাই বোধহয় প্রচারে এসে একবারও প্রার্থীর নাম করলেন না যোগী। আর এই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি অসুস্থ। সেই কারণেই সভায় যেতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শান্তনু ঠাকুর নিজে৷
যোগীর বনগাঁর সভা ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কেন সভায় আসেননি বিজেপি প্রার্থী, তা নিয়েই শুরু হয়েছে কানাঘুষো। শান্তনু ঠাকুর উপস্থিত না হওয়ায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। আদিত্যনাথের সফর ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলার বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সোমবার সকাল থেকেই বদলাতে শুরু করে ছবি। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে সভাস্থলে পৌঁছান যোগী আদিত্যনাথ। জেলাস্তরের তেমন কোনও নেতাকেও দেখা যায়নি মঞ্চে। এমনকী ভরেনি মাঠও। মঞ্চে আদিত্যনাথের মন্তব্য ঘিরেও শুরু হয় সমালোচনা। জানা গিয়েছে, সভা থেকে মোদি সরকার গঠনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি৷ উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু দলকে ভোট দিতে বললেও, একবারের জন্যও প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি তাঁর মুখে। এতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাচ্ছেন সকলে।
অন্যদিকে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিজেপি প্রার্থী সভায় না থাকলেও মতুয়া ভক্তদের উপস্থিতি আশা করেছিল দল। কারণ, বরাবরই মতুয়া পরিবারের যে কোনও সভায় অনুষ্ঠানে ডঙ্কা বাজিয়ে, নিশান হাতে জড়ো হন অনুগামীরা। কিন্তু এদিনের ছবিটা ছিল ঠিক উলটো। কারণ, এদিনের সভায় সে অর্থে দেখা মেলেনি কোনও মতুয়া ভক্তের। এর পিছনে দলের অন্তর্কলহকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শান্তনু ঠাকুরের অসুস্থতার তত্ত্বটিও মানতে নারাজ অনেকেই। এবিষয়ে শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভোটের মুখে দলের এই কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঠিক কী প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে, তা ভাবাচ্ছে দলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.