মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বিজেপি (BJP) নেতা কিংকর মাজির মৃত্যুর প্রতিবাদে বাগনানে চলছে ১২ ঘণ্টার বন্ধ। কোনও অশান্তি এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় হয়নি। তবে কার্যত সচল গোটা এলাকা। এদিকে, ওই বিজেপি নেতা করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। দেহ হস্তান্তর না করার জন্য করোনার অজুহাত দেখানো হচ্ছে বলেই অভিযোগ বিজেপির।
মহাষ্টমীর রাতে পেশায় ফুল ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা কিংকর বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পথেই প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। অভিযোগ, সামান্য বাকবিতণ্ডার পর বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে ওই প্রতিবেশী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারও হয়। তবে কিংকরকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকেলের দিকে মৃত্যু সংবাদ এলাকায় আসে। আর সে খবর পাওয়ামাত্রই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন স্থানীয়রা। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় তাতে। দফায় দফায় মুম্বই রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাগনান থানাও ঘেরাও করা হয়।
মৃত্যুর প্রতিবাদেই ১২ ঘণ্টা বাগনানে (Bagnan) বন্ধ ডাকে বিজেপি। বৃহ্স্পতিবার সকালে এলাকায় বন্ধের মিশ্র প্রভাব। বাগনানের স্টেশনের দক্ষিণ পাশে দোকানপাট খোলাই রয়েছে। তবে স্টেশনের উত্তর দিকে দোকানপাট বন্ধ। যদিও বৃহস্পতিবার এমনিতেই উত্তরপাড় বন্ধ থাকে। বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলেছে অটোর। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি তৈরি না হয় তাই নামানো হয়েছে ব়্যাফ।
এদিকে, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই বিজেপি কর্মীর অস্ত্রোপচারের আগে করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, যাতে দেহ হস্তান্তর করতে না হয় তাই পুলিশ মিথ্যে করোনার অজুহাত দিচ্ছে। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে এসব কাজ হচ্ছে বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তবে সেকথা মানতে নারাজ বিধায়ক অরুণাভ সেন। তিনি বলেন, “মানুষ বুঝে গিয়েছে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বাগনানে গুলি চলেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা বুঝেই তারা বিজেপির ডাকা বনধ উপেক্ষা করেই পথে নেমেছেন। স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন। আমরা সাধারণ মানুষকে সাধুবাদ জানাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.