দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির জাঙ্গিপাড়া। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী।
জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতের দিঘির ঘাট এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করছিলেন দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। পঞ্চায়েত প্রধান তুষার রক্ষিত জানিয়েছেন, বৈঠক শেষে তখন বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থক বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পার্টি অফিস বন্ধ করার তোড়জোড় করছিলেন। আচমকাই বাইকে চেপে সেখানে হাজির হন জনা চল্লিশেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তাঁরা। এমনকী, ভাঙচুর চলে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়েও। ভেঙে দেওয়া হয় আলমারি ও টিভি। বিজেপি কর্মীদের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন তৃণমূল কর্মী। পা ভেঙেছে রাজবলহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান তুষার রক্ষিতেরও। খবর পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ, তখন পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীরা ইটবৃষ্টি শুরু করে৷ ইটের আঘাতে চোট পেয়েছেন এক কনস্টেবল। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকরা। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে শুক্রবার সকালেও এলাকার পরিস্থিতি ছিল যথেষ্ট থমথমে।
হুগলির জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে দিঘির ঘাটে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বরং দলের শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসুর দাবি, রাজবলহাটে তৃণমূল কর্মীরাই জড়ো হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছেন। দলের কর্মীর প্রতিরোধ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তবে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় যদি দলের কেউ জড়িত থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.