সম্যক খান, মেদিনীপুর: আমফান (Amphan) দুর্নীতিতে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ঠিক সেই সময়ই এবার ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগের তালিকায় নাম জুড়ল বিজেপির (BJP)। শালবনী ব্লকের ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেই অভিযোগ।
তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহের গলায় একই অভিযোগের সুর। তাঁদের দাবি, আমফান ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ সবেতেই চরম দুর্নীতি চলছে। প্রধান এবং উপপ্রধান তাঁদের নিজের বাবার নাম ক্ষতিপূরণের তালিকায় ঢুকিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও এমন সব ব্যক্তিদের নাম ঢোকানো হয়েছে যাঁদের কোনও ক্ষতিই হয়নি। আবার বহু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম বাদ পড়েছে বলেও অভিযোগ। একইসঙ্গে একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষ প্রযুক্তিবিদের মাধ্যমে প্রধান এবং উপপ্রধান দুর্নীতি করছেন বলেই দাবি প্রায় সকলের।
ওই দক্ষ প্রযুক্তিবিদ অনিমেষ রায়ের বিরুদ্ধে বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে। যদিও অনিমেষবাবু এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমান মাহাতো। তিনি বলেছেন, “অনিমেষবাবু কাজের মানুষ। নির্মাণ সহায়ক চলে যাওয়ার পর তিনিই অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ সামলাচ্ছেন। যাঁরা ভালো কাজ করেন তাঁদের বিরক্ত করাই তৃণমূলের কাজ।” তবে বাবা যে আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন তা স্বীকার করেছেন উপপ্রধান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রধানের শ্বশুরের নামে টাকা নেওয়ার যে কথা রটেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। প্রধান লক্ষ্মীমণি হাঁসদার শ্বশুরের নাম ‘এ’ ফর্ম পাঠানো হয়েছিল। তবে ‘বি’ ফর্মে পাঠানো হয়নি। ফলে টাকা পাওয়ার প্রশ্ন নেই। আর আমার বাড়ির ক্ষতি হয়েছিল বলেই বাবা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। প্রশাসনিক আধিকারিকরা এসে তদন্তও করে গিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.