দীপঙ্কর মণ্ডল ও রঞ্জন মহাপাত্র: ফের সন্ত্রাসের বাতাবরণ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Khejuri)। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই এমন ঘটনায় ভিন্ন ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকেই। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর, লুট চলেছে বলে অভিযোগ। সকালে সেসব কার্যালয়ে দেখা গিয়েছে বিজেপির (BJP) দলীয় পতাকা। ফলে গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। প্রতিবাদে আজ সকালে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেছে তৃণমূল। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তুলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই।
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধে থেকেই খেজুরির বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। জনকা, বীরবন্দ-সহ একাধিক এলাকায় মোটর সাইকেল বাহিনী রাতে তৃণমূলের ছ’টি পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির দলীয় পতাকা। এভাবে দখলের খেলা শুরু করেছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের। আরও অভিযোগ, রাতে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য তাঁদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো হয়। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে মিঞামোড় এলাকায় পথ অবরোধে নেমেছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে বলে খবর।
যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের ভূমিকার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের পালটা অভিযোগ, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। তৃণমূল অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেছে। পুলিশ সময়মতো পদক্ষেপ নিলে তাদের এতগুলো কার্যালয়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালাতে পারত না বলে অভিযোগ।
ঘটনার গতিপ্রকৃতিতে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্মৃতিতে ফিরছে সেই ২০০৮ সালের সন্ত্রস্ত সময়। বাম আমলের এই সময়ে জন আন্দোলনে উত্তপ্ত খেজুরিতে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ, ক্ষতি, প্রাণহানি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। শুক্রবারের রাতের তাণ্ডবে সেই সময়ের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের আবার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার নেপথ্যে বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর অনুগামীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.