সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নুন-ভাতের পর মিড-ডে মিলে এবার মুড়ি-চানাচুর! কখনও আবার দু’টি বিস্কুট। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে পুরুলিয়ার ঝালদার এক নম্বর ব্লকের পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিষয়ে অভিভাবকরা ও স্থানীয়রা একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষাবন্ধু, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুফল মেলেনি। অবশেষে বাধ্য হয়েই বিডিও-র কাজে লিখিত অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা।
মিড-ডে মিলে নুন-ভাত দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেই শিরোনামে উঠে এসেছিল হুগলির একটি স্কুলের নাম। এরপরও বেশ কয়েকটি স্কুলে মিড-ডে মিলে সমস্যার কথা প্রকাশ্যে আসে। একই ছবি পুরুলিয়ার ঝালদার এক নম্বর ব্লকের পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মিড-ডে মিলে মুড়ি-চানাচুর কখনও আবার বিস্কুট দেওয়া হয় ওই স্কুলের পড়ুয়াদের। অভিযোগ, অধিকাংশ দিনই স্কুলেও যান না প্রধান শিক্ষক। বরাবারই প্রধান শিক্ষক বলেন, বিডিও ডেকেছেন বা জেলাশাসক ডেকেছেন বলে স্কুলে যেতে পারছেন না তিনি। মিড-ডে মিলের হিসেবেও গড়মিল করেন বলেই দাবি স্থানীয়দের। এবিষয়ে শিক্ষাবন্ধু জিতেন্দ্রনাথ কুইরি ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিদ্ধার্থ মাহাতো বরাবর প্রধান শিক্ষককে আড়াল করে চলেছেন, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের।
অবশেষে বাধ্য হয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ হন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। গোটা বিষয়টি বিডিওকে জানান তাঁরা। ঝালদা এক নম্বর ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামবাসীরা কথা বলে গিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আমি ওই স্কুলে যাব।” এ বিষয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিদ্ধার্থ মাহাতো বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষক শাস্তিমূলক বদলির পর এখানে এসেছেন। মিড-ডে মিল-সহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। গোটা বিষয়টিই জেলা শিক্ষাদপ্তরকে জানানো হয়েছে। ফলে আড়াল করার যে অভিযোগ উঠছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন।” তবে অভিভাবকরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন দ্রুত সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন তাঁরা।
ছবি: সুনীতা সিং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.