নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবারও নিজের গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হলেন বিজেপির দাপুটে নেতা দুধকুমার
মণ্ডল। ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণ বহড়া অঞ্চলের ৫ নম্বর সংসদের ৭ নম্বর আসনে তিনি বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। নিজের জেতার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপির বিতর্কিত দাপুটে নেতা দুধকুমার মণ্ডল।
রাস্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের স্বয়ংসেবক থেকে প্রচারকের জীবন দিয়ে তার জাতীয়তাবাদের ভাবনার শুরু। কিন্তু রাজনীতি করতেই সংঘ থেকে তাঁকে বিজেপিতে দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপিতে এসে সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে ঠিক খাপ খাইয়ে উঠতে পারেননি একগুঁইয়ে দুধকুমারবাবু। তাঁর জেলা সভাপতিত্বেই বীরভূমে বিজেপির প্রসার হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছেন দুধকুমার। কিন্তু পুর নির্বাচনে তাঁকে না জানিয়ে রাজ্য থেকে প্রার্থী করে দেওয়ায় আচমকা তিনি সভাপতিত্বের পদ
থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৮৮ সাল থেকে নিজের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রার্থী। সিপিএমের দাপটের মাঝেও টানা চারবার তিনি পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। দুবার ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনি প্রধান পদে কাজ চালিয়েছেন।
১৯৯৮ সালে জোটের সভাপতি হিসাবে পঞ্চায়েত সমিতি চালিয়েছেন। কিন্তু জেলা পরিষদে দাঁড়িয়ে তিনি জয়ী হতে পারেননি। যেমন গতবার লোকসভা ও দু’বার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জয়ের সীমানা ছুঁতে পারেননি। তবে নির্বাচন এলেই তিনি
সক্রিয় হয়ে ওঠেন। মানুষ তাঁকে চায়। মাঝে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়ে নিজের তৈরি স্কুল নিয়েই ব্যস্ত হয়েছিলেন। ফের লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিমান ভাঙিয়ে রাজনীতিতে এনেছেন। কিন্তু অনীহা সত্বেও রাজনীতিতে থাকার জেরে দুধকুমার মণ্ডলকে আর আগের ফর্মে দেখা যায় না জেলা রাজনীতিতে। এবারও ৭ নম্বর সংসদে বিকাশ চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় ফুলমালিকে প্রার্থী করার জন্য দল সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গ্রামের মানুষ দুধকুমার মণ্ডলকেই চেয়েছে। দুধকুমারবাবু বলেন, “এটাই ভালোবাসা। শুধু এই চন্ডাল রাজত্বে জিতেও মানুষের জন্য কিছু করতে পারছি না, এটা আমাকে যন্ত্রনা দেয়। গতবার সারা জেলায় সন্ত্রাসের মাঝেও আমি জয়ী হয়েছিলাম। এবার আমার এলাকার তিনটি সংসদে আমি দলের প্রার্থীদের জয়ী করে আনব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.