ফাইল ছবি
শেখর চন্দ, আসানসোল: দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আসানসোল সিবিআই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ কেষ্টর আইনজীবী। এদিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন অনুব্রতর আইনজীবী। একের পর এক মামলার জটে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা এখনও অনিশ্চিত। এদিকে এদিন সিবিআই মামলার শুনানিতে অনুব্রত জানালেন, তাঁর ফিশচুলা ফেটেছে। ফলে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। চিকিৎসার আশ্বাস দিলেন বিচারক।
১৮ নভেম্বর গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ইডি (ED)। তারপর থেকেই কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার আরজি জানানো হয়। কিন্তু একের পর এক ঘটনাপ্রবাহে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা পিছিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি অনুব্রতকে কেন দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল না তা জানতে চায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। পরবর্তীতে আসানসোল সিবিআই আদালত জানায়, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হলে আদালতের তাতে কোনও সমস্যা নেই। এরপরই আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট ও জেলের মধ্যে আলোচনা হয় নিরাপত্তা নিয়ে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আজ অর্থাৎ শুক্রবারই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে অনুব্রতকে। কিন্তু এদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত আসানসোল জেলে কোনওরকম তোড়জোড় দেখা যায়নি। এমনকী কীভাবে অর্থাৎ ট্রেন নাকি বিমানে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তাও জানা যায়নি। এদিকে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা আটকাতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। আসানসোল আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি বেলা ৩ টেয়। এদিকে দিল্লি হাই কোর্টেও মামলা করা হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশের দিকেই কি তাকিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ? সেই কারণেই কী বেলা গড়িয়ে গেলেও অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হওয়ার কোনও চিহ্নই দেখা গেল না? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।
এদিকে এদিনই সিবিআইয়ের মামলায় অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। শুক্রবার সকালে ভারচুয়ালি তাঁকে পেশ করা হয়। সেখানে অনুব্রত জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। ফিশচুলা ফেটে গিয়েছে। রক্তপাত হচ্ছে। তা শুনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আশ্বাস দেন বিচারক। শুনানি শেষে ১৭ মার্চ পর্যন্ত কেষ্টকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.