ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিংশ শতাব্দীতেও এডস নিয়ে কুসংস্কার আর ছুঁৎমার্গের শেষ নেই। তার উপর আবার মূলত অসুরক্ষিত যৌনতা বা একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে সাধারণত শরীরে এই মারণরোগের সংক্রমণ হয়। তাই এডস রোগীকে ভাল চোখে দেখে না সমাজ। এইসব সাত-পাঁচ ভেবেই দু-দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বীরভূমের ইলামবাজারের এক যুবক। কারণ, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরীক্ষায় ওই যুবকের রক্তে মারণ রোগের জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এরপর কলকাতা ও বর্ধমানের দুটি ল্যাবে ফের তাঁর রক্ত পরীক্ষা করান পরিবারে লোকেরা। তাতে জানা যায়, ওই যুবক আদৌও এডসে আক্রান্ত নন। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ওই যুবকের পরিবার। যদিও দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে দাবি, তাদের রিপোর্টই সঠিক।
[ফেসবুক সহায়, মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে ফিরে পেলেন দাদা]
ওই যুবকের নাম নাড়ুগোপাল বাদ্যকার। বাড়ি বীরভূমের ইলামবাজারের টিকরবেড়া গ্রামে। পরিবারের লোকের দাবি, গ্রামেরই এক অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দিতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন নাড়ুগোপাল। রক্ত দিয়েছিলেনও তিনি। পরে ফের ওই যুবককে ডেকে পাঠিয়ে পরীক্ষার জন্য তাঁর রক্ত নেন হাসপাতালের চিকিৎসক। ৩ ফ্রেরুয়ারি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পান নাড়ুগোপাল। অভিযোগ, সেই রিপোর্টে বলা হয়, নাড়ুগোপাল এইডে আক্রান্ত। বাড়ি ফিরে প্রথমে বিষ খেয়ে ও পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর সাতাশের ওই যুবক। এরপর কলকাতা ও বর্ধমানের দুটি ল্যাবে ফের নাড়ুগোপালের রক্ত পরীক্ষা করান পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, দুটি রিপোর্টেই বলা হয়েছে, রক্তে এডসের জীবাণু নেই।
[ঘরে জ্বলে না আলো, বাহারি স্মার্টফোন চার্জ দিতে ছুটতে হয় বহু দূর]
দুর্গাপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে রিপোর্টে এডসের কথা বলে হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি অত্যন্ত নামী হাসপাতাল। কিন্তু, রিপোর্ট বিভ্রাটের পর এখন হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ফুঁসছে নাড়ুগোপাল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। যদিও ওই বেসরকারি হাসপাতাল তরফে অভিযোগকারীদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে তাদের রিপোর্টে কোনও ভুল নেই। অন্য যে দুটি ল্যাব থেকে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে, রোগটা আসলে তারা ধরতে পারেনি।
[এবার সরকারি উদ্যোগেই তৈরি হবে ‘খাঁটি’ রসগোল্লা, নাগালেই থাকছে দাম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.