নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রক্ষার জন্য রাখি। নিজেদের হাতে তৈরি করে সেই রাখি ‘সীমান্তের প্রহরী’দের কাছে পাঠালেন বীরভূমের (Birbhum) মহিলারা। গত একমাস ধরে সাঁইথিয়ার মাড়োয়ারি সমাজের মেয়েরা নিজের হাতে জওয়ান ‘ভাই’দের জন্য বানিয়েছেন রাখি (Rakhi)। সেসব সীমান্তবর্তী সেনা শিবিরগুলিতে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে সৈনিক ‘ভাই’দের জন্য হাতে লেখা একটি চিঠি। যে চিঠিতে লেখা সেনাদের বীরগাথা। একটি খামে চিঠি ও রাখি পাঠানো হয়েছে। আর এভাবে রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন করে খুবই খুশি তাঁরা।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় (Saithia) অখিল ভারতীয় মাড়োয়ারি মহিলা সম্মেলন। তাঁরাই মাস খানেক ধরে নিজেদের হাতে রাখি তৈরি করেছেন। শুধু তো তৈরি করাই নয়। সেই রাখি সযত্নে খামবন্দি করা। সেনা জওয়ানদের সংগ্রামের কাহিনি চিঠির আকারে লিখে বোঝানো যে দেশের আমজনতা তাঁদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, কতটা শুভাকাঙ্ক্ষী। রাখির খামের সঙ্গে তাই একটি করে চিঠিও ভরে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলন সদস্য খুশবু আগরওয়াল জানাচ্ছেন, ”রক্ষাবন্ধনের সময় তো সৈনিক ভাইয়েরা বাড়ি আসতে পারে না। তাই আমরা ওঁদের রাখি পাঠাচ্ছি। ওঁরা সারা বছর আমাদের রক্ষা করে, এখন আমাদের পাঠানো এই রাখি যেন ওদের রক্ষাসূত্র হয়ে ওঠে। সারা দেশের সেনাদের কাছে আমরা রাখি পাঠাচ্ছি।”
মাড়োয়ারি মহিলা সম্মেলনের আরেক সদস্য রেশমি আগরওয়ালের বক্তব্য, আগেও দু, একবার তাঁরা এভাবে রাখি পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। কিছু কিছু জায়গায় তা পৌঁছে দিতে পারলেও এবারের মতো এত ব্যাপকভাবে সেনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া আগে কখনও হয়নি। দুটো রাত কাটলেই রাখিবন্ধন উৎসব। ওইদিন জলপাই পোশাক, হাতে রাইফেলধারী জওয়ানদের অঙ্গশোভা বাড়িয়ে তুলবে লালমাটির দেশের বোনদের হাতে তৈরি রাখি।
রাখির দিন গোটা বীরভূমেই অবশ্য একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সেনার পাশাপাশি আমজনতার রক্ষকের ভূমিকা থাকে পুলিশও (Police)। তাঁরাও নাগরিকদের রক্ষায় সদাসতর্ক থাকেন। বৃহস্পতিবার তাই রাস্তায় নেমে পুলিশকর্মীরা পালন করবেন রাখি উৎসব। একে অপরের হাতে বেঁধে দেবেন রাখি, সেই রাখিতে থাকবে ট্রাফিকের তিন বাতির সংকেত, যা পথ আইন মেনে চলার বার্তা দেবে। সারা জেলার সব থানা নিজেদের হাতে ওই তেরঙ্গা রাখি তৈরি করেছে। পূর্ণিমার সকালে মহিলা পুলিশ হাতে বেঁধে দেবেন রাখি। সেইসঙ্গে থাকছে মিষ্টি মুখের আয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.