নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করার পরই মিলল চিকিৎসা। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন বীরভূমের রুবি খাতুন। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের রাউতাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসে তিনি বললেন, দিদি না থাকলে এই সন্তানকে তিনি পেতেন না। দ্বিতীয় কন্যাকে কোলে বসিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই প্রার্থনা করলেন রুবি।
বীরভূমের মহম্মদবাজারের তিলডাঙ্গায় বাপের বাড়ি রুবি খাতুনের। কৃষক পরিবারের ওই বধূ সিউড়ির এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ওই চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই বধূকে। কিন্তু প্রসবের দেরি রয়েছে একথা জানিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর ফের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বধূকে। কিন্তু বধূ জানান, ‘আমাকে হাসপাতালে দেখেই চটে যান চিকিৎসক। আমাকে আর মাকে একরকম ভর্ৎসনা করতে থাকেন, কেন হাসপাতালে ভরতি হলাম জিজ্ঞেস করতে থাকেন।’ কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নার্সিংহোমে যেতে পারেননি তিনি।
রুবির স্বামী শেখ নিজামুদ্দিন জানান, এই পরিস্থিতিতে ‘দিদিকে বলো’র কথা আমার মাথায় আসে। এরপরই ওই নম্বরে ফোন করি। অভিযোগ জানানোর পরই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বধূর খোঁজ নেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি। তিনি জানান, ‘আমার কাছে কলকাতা থেকে রোগীটির ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ আসে। এরপরই আমি রুবি খাতুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। অভিযুক্ত চিকিৎসককে মৌখিকভাবে শোকজ করা হয়।’ এরপর অন্য চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ফের ওই বধূকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সুস্থ সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে পেরে খুশি নিজামুদ্দিন-সহ তার পরিবার। কোনও রাজনীতির সঙ্গে না থেকে, মিছিল-মিটিংয়ে না গিয়েও যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা মিলেছে, তাতে আপ্লুত ওই ব্যক্তি।
ছবি: শান্তনু দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.