ছবি: সুশান্ত পাল।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বোমা বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূল কর্মী লাল্টু শেখের মৃতদেহ পৌঁছল বীরভূমের গ্রামে। সোমবার সকালে কলকাতা থেকে দেহ পৌঁছনোর পরই উত্তাল হয় মাড়গ্রাম। দেহ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানাবেন তাঁরা। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামে। এদিক এই ঘটনায় ধৃত ৬ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছে আদালত।
রবিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় লাল্টু শেখের। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন লাল্টু। এদিন তাঁর দেহ গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। লাল্টু-সহ দুজনের মৃত্যুর জন্য স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন, তার ছেলে শেখ লাকি, শেখ বাপির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তাদের কড়া শাস্তির দাবিতে এদিন গ্রামে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রাম। মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ, তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ, সুজাউদ্দিন নামে তিন তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলেই অভিযোগ। বোমাবাজির পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের লোহার শাবল-সহ নানা ধরনের ভারী বস্তু দিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পথেই মৃত্যু হয় নিউটন শেখের।
জখম লাল্টু শেখকে প্রথমে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ট্রমা কেয়ার ইউনিটেই রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং পরপর তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে লাল্টুর প্রাণ গিয়েছে বলেই জানান চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা গ্রাম। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা গ্রাম মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.