ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ‘গুড়-বাতাসা’, ‘চড়াম চড়াম’, ‘পাচন’ – নানাবিধ গ্রামীণ প্রচলিত কথা প্রায় আস্ফালনের ভাষা করে তুলেছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর সেসব ‘হুমকি’র প্রভাব ভালই পড়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর সেই প্রভাব টের পাওয়া গেল। তাঁর সুরেই হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের ইলামবাজারের তৃণমূল (TMC) নেতা দুলাল রায়। বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ার পর বিজেপির তরফে গুড়-বাতাসা বিলি করে উদযাপন পর্ব চলছে। এবার তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন দুলাল রায়। বলে বসলেন, “যদি ইলামবাজারে কেউ গুড়-বাতাসা বিলি করে, তার পিঠের চামড়ায় চড়াম-চড়াম করে ঢাক বাজবে।”
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর শুক্রবার তার প্রতিবাদে বীরভূমের ইলামবাজারে পথসভা করেন দুলাল রায়। সেখান থেকেই এই হুমকি দেন তৃণমূল নেতা দুলাল রায়। এই ইলামবাজারের পশুহাট থেকে গরু পাচারের অভিযোগে তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই (CBI)। ২০ তারিখ পর্যন্ত তিনি সিবিআই হেফাজতে, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলার গেস্ট রুমে থাকবেন।
ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তৃণমূল। সেইমতো ইলামবাজারেও অনুব্রতর সমর্থনে মিছিল করে তৃণমূল। মিছিল শেষে পথসভা করা হয়৷ সেই পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা দুলাল রায় বলেন, “নার্ভাস হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ এই ইলামবাজারে যদি কেউ গুড়-বাতাসা বিলি করে তার পিঠের চামড়ায় চড়াম-চড়াম করে ঢাক বাজাব৷ কথা দিয়ে রাখছি৷” অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তারের পরে পরেই রাজ্যের বহু জায়গায় গুড়-বাতাসা, নকুলদানা বিলি করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিজেপি-সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা। তার পালটা দিতেই দুলাল রায়ের এহেন মন্তব্য। তবে বলাই বাহুল্য, তাঁর এই ‘হুমকি’ নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.