ফাইল ছবি
ধীমান রায়, কাটোয়া: “কুকুরের স্বভাব ঘেউ ঘেউ করা। রাস্তায় কুকুর বেশি হলে ঘেউ ঘেউ করবেই। কেউ সারা দেয় কি? রাস্তার পাশ দিয়ে চলে যেতে হয়।” পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম ২ ব্লকে দলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাম না করে বিজেপিকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, “বিজেপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। ওদের কোনও নীতি নেই। যারা মানুষে মানুষে দাঙ্গা লাগায় তারা দেশের কাজে লাগে না।” পাশাপাশি অনুব্রত আরও বলেন, “বিজেপির সরকার দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিতে শুরু করেছে। কয়লাখনি, বিমানবন্দর, ট্রেন, ব্যাংক সব বিক্রি করার রাস্তা নিয়েছে। দেশের ভাল চায় না ওরা।”
শুক্রবার কেতুগ্রাম ১ ব্লকে দলের বুথভিত্তিক কমী সম্মেলন করেন। কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামে বিআইটি কলেজ চত্বরে কেতুগ্রাম ২ ব্লকের তিনটি অঞ্চল নিয়ে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন হয়। বিল্লেশ্বর, নবগ্রাম ও গঙ্গাটিকুরি এই তিন অঞ্চলের মোট ৪৮টা বুথের নেতাকর্মীদের ডাকা হয়েছিল। উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপির থেকে এগিয়ে ছিল। তবে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস ৫৮০০ ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল। এই ব্লকের অধিকাংশ অঞ্চলেই হেরে ছিল শাসকদল। এদিন অনুব্রত প্রতিটি বুথের দলীয় সভাপতি ও সাধারণ কর্মীদের কাছে দলের হারের কারণ জানতে চান। তারপর তিনি কর্মীদের গাইডলাইন বেঁধে দিয়ে নির্দেশ দেন, যেসব মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন তাঁদের বুঝিয়ে দলে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করতে হবে। মানুষদের পাশে থাকতে হবে।
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এলাকার সুবিধা-অসুবিধা মেটানোর ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন বিল্লেশ্বর অঞ্চলের এক তৃণমূল কর্মী অনুব্রতর কাছে অভিযোগ জানান, কেতুগ্রামের রসুই গ্রাম থেকে ভুলকুরি পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তা বালির গাড়ি চলাচল করে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে এলাকার মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এই কথা শোনার পর অনুব্রত মণ্ডল মঞ্চ থেকেই জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তারপর অনুব্রত বলেন, “জেলাশাসককে বলে দিয়েছি। ওই রাস্তা হয়ে যাবে।”
দেখুন ভিডিও:
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.