নন্দন দত্ত, বীরভূম: প্রয়োজন আছে ঠিকই। তবে স্মার্টফোনে আসক্তিও বড় কম নয়। ক্লাস চলাকালীন মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছিল এক ছাত্র। বারণ করায় শিক্ষককে মুখে সে সপাটে ঘুসি মারে বলে অভিযোগ। নাকে গুরুতর আঘাত নিয়ে এখন হাসপাতালে ভরতি বাংলার শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটিতে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক আবদুল কালাম মণ্ডল জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি আক্রান্ত শিক্ষক। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[সব ভাষাতেই রাজ্যের নাম হবে ‘বাংলা’, প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়]
‘গুণধর’ ছাত্রের নাম শেখ আলামিন ওরফে কাজল। বীরভূমের নলহাটির হরিপ্রসাদ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে। বুধবার সকালে তখন বাংলার ক্লাস চলছিল। ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক স্বদেশ সাহা। কাজলের সহপাঠীরা জানিয়েছে, বাংলার ক্লাস চলাকালীন বেঞ্চে নিচে হাত রেখে মোবাইল ঘাঁটছিল সে। ছাত্রের অন্যমনষ্কতা নজর এড়ায়নি শিক্ষকের। কাজলকে ক্লাসে মোবাইল ঘাঁটতে বারণ করেছিলেন স্বদেশবাবু। কিন্তু, সেকথা শুনেনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি। কাজলের কান মুলে দেন হরিপ্রসাদ হাই স্কুলের বাংলার শিক্ষক স্বদেশ সাহা। এরপরই শিক্ষককে ওই কিশোর সজোরে ঘুসি মারে বলে অভিযোগ। মারে চোটে স্বদেশ সাহার নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। ক্লাসেই জ্ঞান হারান তিনি। তড়িঘড়ি ওই শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আর স্কুলে আসেনি অভিযুক্ত ছাত্র শেখ আলামিন ওরফে কাজল। নলহাটির হরিপ্রসাদ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল কালাম মণ্ডল বলেন, এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি আক্রান্ত শিক্ষক। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হতে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে স্কুলে এমন ঘটনায় হতবাক হরিপ্রসাদ হাই স্কুলের অন্য শিক্ষকরা।
[ পরিচিত যুবকের বাড়ি থেকে উদ্ধার কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, চাঞ্চল্য বাগনানে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.