ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল। কেন তাঁর চিকিৎসা করতে বাড়িতে গেলেন সরকারি চিকিৎসক? কার নির্দেশে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। বীরভূমের সিএমওএইচের কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ।
গত সোমবার গরু পাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) তলব করে সিবিআই। এই নিয়ে নবমবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তাঁর আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওইদিন অনুব্রতর এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা রয়েছে। তাই তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। ওইদিন এসএসকেএম হাসপাতালে রুটিন চেক আপ করান অনুব্রত। একাধিক রক্তপরীক্ষা এবং ইউএসজি হয় তাঁর। এরপর এসএসকেএমে গঠিত সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দেয় অনুব্রতর হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজনীয়তা নেই। কয়েকটি ক্রনিক সমস্যা রয়েছে। ওষুধ খেলেই সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এরপর চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে সোজা বীরভূমের বাড়িতে চলে যান অনুব্রত।
মঙ্গলবার বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বাড়ি গিয়ে অনুব্রতর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। জানান, তাঁর ১৪ দিনের বেডরেস্ট প্রয়োজন। দুই চিকিৎসকের আলাদা পরামর্শ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই মাঝে বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী কার্যত বোমা ফাটান। তিনিই গিয়েছিলেন অনুব্রতর বাড়ি। চন্দ্রনাথ দাবি করেন সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনে ১৪ দিন বেডরেস্ট লিখতে হয়েছিল চন্দ্রনাথ অধিকারীকে। এরপরই সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রকাশ্যে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, গত ৬ আগস্ট থেকে ছুটিতে রয়েছেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ডা. দিব্যেন্দু দত্ত।
এই টানাপোড়েনের মাঝে বীরভূমের সিএমওএইচের কাছে তথ্য তলব করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। কার নির্দেশে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অনুব্রতর বাড়িতে গেলেন? কেনই বা গেলেন তিনি? এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমার নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.