নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চতুর্থীর সকালে বীরভূমের খয়রাশোলের ভাদুলিয়ার গঙ্গারামচক কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয় ৬ শ্রমিকের। আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল আরও দুজনের ছিন্নভিন্ন দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁদের নাম জয়দেব মুর্মু ও যুদ্ধ মারান্ডি। যদিও সরকারিভাবে তাঁদের দেহ শনাক্ত করা হয়নি। সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার সুব্রত গড়াই জানিয়েছেন, ‘মৃতদেহের ডিএনএ টেস্টের জন্য বর্ধমানে পাঠানো হবে।’ এদিন পিডিসিএলের তরফ থেকে মৃতদের ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এদিন সকালেও খয়রাশোলের গঙ্গারামচক খনি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। সেখান থেকেই দুই শ্রমিকের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের দেহাংশ সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত জয়দেব মুর্মুর ভাই খাণ্ডু মুর্মু দেহাংশ দেখে দাবি করেন সেটি তাঁর দাদার মৃতদেহ। একই সঙ্গে যুদ্ধ মারান্ডির ভাই মহাদেব মারান্ডিও দেহের পোশাক ও পাশে পরে থাকা গামছা দেখে সেটি তাঁর দাদার দেহ বলে দাবি করেছেন। যদিও সরকারি ভাবে মৃতদেহগুলিকে শনাক্ত করা হয়নি।
পিডিসিএলের রাজ্যের চেয়ারম্যান পি বি সেলিম এদিন মৃতদের পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ঘোষণার পাশাপাশ বলেন, “২১৫টি সরকারি, বেসরকারি সংস্থা কয়লা উত্তোলনের কাজ করে। তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন পিডিসিএল। তাই নিরাপত্তার দিকটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়। এই ঘটনাটি নিকছ দুর্ঘটনা। আমরা মৃতদের পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেব।”
এদিন সিউড়ি মর্গে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ। মৃতদের পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে পিসিডিএলের বিধি না মানা নিয়ে বলেন, “মৃতদের পাশাপাশি আহতদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও বিস্ফোরণের গাড়ি বহনের জন্য যে বিধি পালন করা দরকার তা মানা হয়নি। বিস্ফোরন থাকলে যে সাইনবোর্ড রাখতে হয় তাও রাখা হয়নি।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি হাসপাতালে যান। হাসপাতালে শ্রমিকদের পরিবারকে সাহায্য করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.